তোরে কইছি বল সাবান দিয়া গ্লাস ধুইতে আর তুই ডিটারজেন্ট দিয়া প্লেট বাটি ধোয়া মোছা করস।ডিটারজেন্ট আর বল সাবানের দামের পার্থক্য বুঝস? হোটেলের ক্যাশে বসে মিনহাজউদ্দীন কর্কশ স্বরে কথাগুলো বলছিল। এইসব কথা শোনা শোভনের রোজকার রুটিনের মধ্যে পড়ে। শোভন বাংলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। কলেজ থেকে ফিরেছে বেলা একটায় । বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে ঘরে ফিরে মুখে কিছু বাসি পান্তা ভাত দিয়ে হোটেলের কাজে চলে এসেছে। হোটেলের নাম খাবার বাড়ি। হোটেলের মালিক মিনহাজুদ্দিন বছর চল্লিশ বয়সের শক্ত সমর্থ মানুষ । তবে সারা দিন ক্যাশে বসে খাবারের অর্ডার নেয়া আর বিলের টাকার হিসাব করা ছাড়া সে প্রায় কিছুই করে না। অলস হলেও তার মেজাজ তাতানো। ষাট বছরের বাবুর্চি রহমত থেকে শুরু করে শোভন পর্যন্ত সবাই কে তুই বলে সম্বোধন করে। আগের কথার খেই ধরে মালিক খেকিয়ে ওঠে, হারামজাদা, ডিটারজেন্টের দাম কি তোর বাপ দিবো?
শোভন এতক্ষণ মাথা নিচু করে মালিকের চোটপাট শুনছিল। শেষের কথাটা তার বুকে গিয়ে বিধলো। তবে সে মুখে কিছু বললো না। সৌভাগ্যবশত এই সময় একজন কাস্টমার আসে হোটেলে। মিনহাজউদ্দীনের মনযোগ সেই দিকে ধাবিত হয়। একটু আগের চোটপাটের কোনো চিহ্ন তার চোখেমুখে নাই। মালিক এখন বিনয়ের অবতার। মুখে বিগলিত হাসি। গিরগিটির রং পরিবর্তনের মতো মালিকের এই অমায়িক আচরণ দেখতে শোভনের ভালো লাগছিল না। সে রান্নাঘরে ঢুকে ওভেনের শিকগুলো প্রস্তুত করতে শুরু করে। বেলা চারটার পর থেকে শিক কাবাব আর চিকেন গ্রিল বিক্রী শুরু হবে। প্রধান বাবুর্চি রহমত একটা বড় ডিশে মাংসে মসলা মেশাচ্ছে। তার মাথা ছাড়িয়ে আড়চোখে একবার ঘড়ির দিকে তাকায় শোভন। চারটা বাজতে বিশ মিনিট বাকী। ঠিক সাড়ে চারটার সময় ওরা আসবে। অথৈ, সুবোধ আর পান্থ। রানা একটু দেরী করে আসে। তবে মাঝে মাঝে ওদের সাথেই চলে আসে। সারাদিন ধরে এই দেড় ঘন্টার জন্য শোভন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
খাবারবাড়ি হোটেলটা কে ঠিক অভিজাত রেস্তোরা বলা যায় না। তবে এসি থেকে শুরু করে আরামদায়ক চেয়ার টেবিল পর্যন্ত বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা আছে। এলাকার নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেনির মানুষ এই হোটেলের প্রধান খরিদ্দার। বিকাল সাড়ে চারটার পর আজ ওরা চারজনই একসাথে এসেছে। ক্যাশ কাউন্টার থেকে দূরে জানালার কাছে টেবিলে ওরা বসেছে। শোভন কাস্টমারদের সার্ভ করার ফাকে ফাকে উৎকর্ণ হয়ে ওদের কথা শুনছে। রানা বেশ উত্তেজিত। সে বলছে, রাশিয়ার কি প্রয়োজন ছিল ইউক্রেন আক্রমণ করার? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ঔপনেবেশিক যুগের অবসান ঘটেছে। নিরপদ্রব বিশ্বে স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। এই মুহুর্তে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ার দরকার কি? সুবোধ শান্তভাবে বলে, বিশ্বব্যবস্থা নিরপদ্রব ছিল বটে। কিন্তু সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে। আর আমাদের জীবদ্দশাই দেখতে পেলাম লিবিয়া কিভাবে স্বাধীন হলো। ইরাকে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা বা সিরিয়াতে পরাশক্তির হস্তক্ষেপ সবই তো সাম্প্রতিক কালের ঘটনা।
পান্থ বললো, পরাশক্তির দ্বন্ধে সাধারণ মানুষ নিহত বা অবর্নণীয় দুর্ভোগের স্বীকার হবে, সেই ব্যবস্থা তো মেনে নেয়া যায় না। সুবোধ বলে, সাধারণ মানুষের প্রতি নিপীড়ন কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। কিন্তু তোমরা দেখো, প্যালেস্টাইনে দখলদার ইসরাঈলি বাহিণী যুগ যুগ ধরে গণহত্যা চালিয়ে আসছে। আর কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সারা বিশ্বের বিবেক নীরব রয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিরোধ সংগ্রাম করা ছাড়া উপায় কি?
হোটেলে ঢুকে রানা প্রথমেই চা, সিঙ্গারা আর আলুর চপের অর্ডার দিয়েছে। এখন শোভন খাবারগুলো এনে টেবিলে রাখতেই অথৈ প্রশ্ন করে, কি রে শোভন? তোদের দোকানে চা আর সিঙ্গারার দাম কত বেড়েছে? শোভন একটু অপ্রতিভ ভাবে জবাব দেয়, প্রত্যেক পিসে ছয় টাকা করে বাড়ছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেক। অথৈ তার বন্ধুদের দিকে ফিরে বলে, পেয়াজেঁর দাম কেজিতে ১৫০ টাকা আর আলুর কেজি ১০০ টাকা। তোমরা বসে বসে দুনিয়া উদ্ধার করছো। এদিকে দেশে নিম্নবিত্ত মানুষের পাঙ্গাস মাছ কেনারও সামর্থ্য নেই।
রানা বলে দেশে যে উন্নতি হয়েছে সেই বিষয়ের প্রমাণ, ক্রমবর্ধমান জিডিপি। আর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কাল পরবর্তী বিশ্বে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমার মনে হয় এই ব্যবস্থা সাময়িক। সুবোধ বলে, দেশ স্বাধীন হয়েছে পঞ্চাশ বছর আগে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। পেটি বুর্জোয়া শ্রেণি যদি সমাজতন্ত্রের কথা বলে তবে সেই ব্যবস্থার শেষ পরিণতি হলো ফ্যাসীবাদ। অবাধে লুটপাট করার ফলে পেটি বুর্জোয়া শ্রেণি বুর্জোয়ায় পরিণত হয়েছে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনো দরিদ্র। তুমি জিডিপি বৃদ্ধির কথা বলছো। দেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির আয়ের সাথে একজন রিক্সাচালকের আয় যোগ করে গড় করলে ফলাফলটা বড় হয়। তবে সেই ফলাফল দেশের প্রকৃত অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে না।
পান্থ অস্থিরভাবে টেবিলে আঙ্গুল দিয়ে টোকা দিচ্ছিল। সুবোধের কথা শেষ হলে সে বলে। আমি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। রাজনীতি বুঝি না। আমরা পাচঁ ভাই বোন। বাবা আগামী বছর রিটায়ার্ড করবে। বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে সংসারের দায়িত্ত্ব ভার পড়বে আমার কাধেঁ। দর্শন শাস্ত্র পড়তে গিয়ে হবস, লক, রুশো সহ বহু মনীষীর কথা পড়েছি। কিন্তু তাতে আমার কি হলো? এক বছরের মধ্যে চাকরি যোগাড় করতে না পারলে আমাদের সংসারটা ভেসে যাবে। অথৈ আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করে, দোলনের সাথে তোর কোনো সমস্যা হয়েছে? পান্থ উত্তর দেয়, দোলন আমাকে সরি বলে ওর বিয়েতে নিমন্ত্রণ করে গেছে। পাত্র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। স্বাভাবিক ভাবে কথাগুলো বললেও পান্থর কণ্ঠে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট।
সুবোধ একটা শিস দিয়ে বলে, হৃদয় ঘটিত ব্যাপার, দুই দিন রবীন্দ্র সংগীত শোন অথবা টানা ঘুমিয়ে থাক । চিন্তাগুলো দূর হয়ে যাবে। প্রতিবাদ করে অথৈ, সব বিষয়ে তোমার নেতিবাচক ঠাট্টা ভালো লাগে না। উত্তেজিতভাবে সুবোধ বলে, মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্ট। আরে দোস্ত, কোন মেয়ে তোকে প্রত্যাখান করেছে সেই জন্য তুই ভেঙ্গে পড়েছিস। তাকিয়ে দেখ শোভনের দিকে। দুপুর থেকে দৈনিক আট ঘন্টা হোটেলে কাজ করে পরের দিন সকালে কলেজে যায়। বাড়িতে বাবার যক্ষ্ণা। কাজ করার সামর্থ্য নেই। মায়েরও অসুখ। তবু সে আট সদস্যের সংসারের ঘানি টেনে চলেছে। শোভনদের কাছে প্রেম ভালোবাসা নেহাৎ জৈবিক ব্যপার। টেবিলে নীরবতা নেমে আসে। কিছুক্ষণ পর অথৈ বলে, সুবোধ তুমি বোধহয় জান না দেশের স্বনাম ধন্য দুটো লিটল ম্যাগাজিনে শোভনের লেখা প্রকাশিত হয়। শোভনের মতো তরুণদের জন্য আজও এই পৃথিবী বাসযোগ্য। এরপর কথাবার্তা আর জমে না। ওরা কিছুক্ষণ বসে থেকে চলে যায়।
ওরা চলে গেলে মালিক শোভন কে ডাক দেয়। সনিগ্ধ ভাবে জিজ্ঞাসা করে, ঐ ব্যাটারা কি বিষয় নিয়ে কথা বলে? শোভন শান্তভাবে উত্তর দেয়, ওরা দেশ, সমাজ, মানুষ কে নিয়ে কথা বলে। মিনহাজউদ্দিন বলে, ও, হোটেলে আবার সন্ত্রাসী এসে ঝামেলা করবো কিনা কে জানে? শোভন বলে, সন্ত্রাসীরা চাদাঁ চায়। আর ওরা মানুষের মঙ্গলের কথা বলে। মুখ বেকিয়ে মালিক বলে, ওই একই কথা। তবে ছুড়িঁটা দেখতে বেশ। তুই তো সারাক্ষণ ঐ টেবিলের কাছে ঘুর ঘুর করিস।
হোটেলের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরতে শোভনের রাত ১১ টা বেজে যায়। বস্তি ঘরের সামনে বাবা বসে আছে। কারখানা বন্ধ হয়ে যাবার পর বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে সরকারি হাসপাতালে টেস্টের পর যক্ষ্ণা ধরা পরে। ডাক্তার বলেছিল, চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার এবং বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক। বলাবাহুল্য এইসব ব্যবস্থা করা শোভনদের পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। বাবা শোভন কে দেখে বলে ওঠে, নবাবজাদার এতক্ষণে বাড়ি ফেরার সময় হলো? বাড়িতে মানুষগুলো যে না খেয়ে আছে, সেই খেয়াল কে করবে? শোভন বাবার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে বাজারের ব্যাগটা মায়ের হাতে ধরিয়ে দেয়। সারাদিন পর এখন তাদের উনুনে হাড়ি চড়বে। ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়ে শোভন শুয়ে পড়ে।
আজ খুব খাটুনি গেছে। গত সপ্তাহে কিছু টাকা জমিয়ে সুভাস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা সংকলন বইটি কিনে এনেছিল।কাজের চাপে পড়া হয়নি। এখন বইটা হাতে নিয়ে পাতা উল্টাতে শুরু করে। একটা কবিতার দিকে তার দৃষ্টি নিবন্ধ হয়।
বন্ধু ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
হয় হোক সে অতি দুর্গম যাত্রা
চিনে নেবে যৌবন আত্না।
পড়া থামিয়ে শোভন ভাবে তার জীবনটা একটা দুর্গম যাত্রাই বটে। কিন্তু এই যাত্রার অন্তিম প্রান্তে কি আছে সে জানে না। কি চায় সে? একটা সন্মানজনক চাকরি, সংসারে স্বচ্ছলতা। তার বাবা ও শৈশব থেকে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছে। শেষ জীবনে যক্ষ্ণায় আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একদিন বিকালে অথৈ বলেছিল, মানব জন্ম অতি দূর্লভ। শুধু খেয়ে পড়ে বেচেঁ থেকে এই জীবন ক্ষয় করার মানে হয় না। এইসব কথা কি শোভনদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। শোভনের বন্ধুরা হোটেলে আসে না। তাদের জন্য শোভন উৎকণ্ঠিত। সে জানে তার বন্ধুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। সে ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের খোজঁ করেছে। কিন্তু কে কোন বিভাগে পড়ে সেই বিষয়টি জানা না থাকায়, শোভনের পক্ষে তাদের হদিস বের করা সম্ভব হয় নি। তাই আজ বিকালে পান্থ কে খাবার বাড়ি হোটেলে বসে থাকতে দেখে শোভন অবাক হয়। কাছে গিয়ে লক্ষ্য করে পান্থ বেশ শুকিয়ে গেছে। মুখ ভরা খোচাঁ খোচাঁ দাড়িঁ। চোখের নিচে কালো দাগ। পান্থ একা টেবিলে বসে ছিল। চোখের দৃষ্টি অন্যমনস্ক। শোভন কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে, পান্থ ভাই, কেমন আছেন? পান্থ চমকে উঠে শোভনের দিকে তাকায়। তারপর বলে, ও তুই। দেশের বেশিরভাগ মানুষ যেভাবে বেচে আছে, আমি ও সেই রকম আছি। একটু থেমে পান্থ আবার বলে, সুবোধ কে দুই মাস ধরে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। কারা যেন ওকে তুলে নিয়ে গেছে। খবরটা পেয়ে আমি রানার অফিসে ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বড়লোক বাবার বন্ধুর সুপারিশে রানার চাকরি হয়েছে। সে স্রেফ বলে দিল, তার নতুন চাকরি। এখন সে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না।
একটু থেমে পান্থ বলে, অথৈ ব্যস্ত আছে তার মঞ্চ নাটক নিয়ে। সে বিশুদ্ধ নাট্যকর্মী হতে চায়। শিল্প, সাহিত্য আর সঙ্গীত? বাজার অর্থনীতিতে এইসব বিষয়ের মূল্য খুব কম। তুই কবিতা লিখিস শোভন? কিন্তু তোর কবিতা কেউ পড়বে না। মানুষ টলস্টয়ের লেখাই পড়ে না। বেচে থাকতে হলে তোকে আত্নবিক্রয় করতে হবে। নইলে সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো মুখে রক্ত উঠে মরতে হবে। পান্থর নৈরাশ্য শোভন কে স্পর্শ করে। মনটা দমে যায়।
পান্থ চলে গেলে মিনহাজউদ্দীন শোভন কে ডেকে পাঠায়। বলে, খবর শুনেছিস? ঐ ব্যটাদের মধ্যে একজন নাকি গুম হয়ে গেছে। মালিকের কণ্ঠে ভয়ের ছাপ। পান্থ স্থির চোখে মালিকের দিকে তাকায়। তারপর বলে, সেইজন্য আপনার ভয় কি? আপনি কি বিরিয়ানিতে কুকুর বিড়ালের মাংস ভেজাল দেন, যে পুলিশ আপনা কে ধরবে? মিনহাজউদ্দিন প্রচন্ড রেগে ক্রদ্ধ স্বরে বলেন, বেয়াদপ, এক্ষুণি তুই ভাগ। শোভন বলে, যাচ্ছি হুজুর যাই। ভাবছো বুঝি তোমার কাছে থাকতে আমি চাই? মস্ত বড় এই দুনিয়ায় অনেক আছে ঠাই।
শীতের রাতে রাস্তা দিয়ে হেটেঁ চলেছে শোভন। রাস্তায় ইতোমধ্যে লোক চলাচল কমে এসেছে। সুবোধ বলতো, আমাদের জীবনে রাতের পর শুধু রাত আসে। সুবোধ হারিয়ে গেছে। রানা বিক্রি হয়ে গেছে। তবু শোভন হাল ছাড়বে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দানবীয় শক্তির সম্মুখে চমস্কির মতো কিছু মানুষ নিসঙ্গভাবে লড়াই করে চলেছেন। শোভন কি পারবেনা তাদের সাথে যুক্ত হতে? একটি নতুন সূর্যের প্রত্যাশায় শোভন দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলে।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
তোরে কইছি বল সাবান দিয়া গ্লাস ধুইতে আর তুই ডিটারজেন্ট দিয়া প্লেট বাটি ধোয়া মোছা করস
০৩ মার্চ - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৩৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪